অভ্যন্তরীণ
কিংবা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে সদা
প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই, বন্ধুত্ব
চাই। তবে আক্রান্ত হলে, তা মোকাবিলা করতে হবে, সেভাবেই আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে
রাখতে হবে এবং সে ভাবে আমরা তৈরি থাকবো। আপনাদের মানুষের আস্থা অর্জন করে
এগিয়ে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে
পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ,
সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।
বুধবার
(২৮ অক্টোবর) পটুয়াখালীর
লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে নবপ্রতিষ্ঠিত তিনটি ব্রিগেড ও ৫টি ইউনিটের পতাকা
উত্তোলন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন
প্রধানমন্ত্রী ।
অনুষ্ঠানস্থলে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্ব-স্ব ইউনিট পতাকা তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নতুন ব্রিগেডগুলো হলো সদর দফতর ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড, সদর দফতর ২৮ পদাতিক ব্রিগেড।
ইউনিটগুলো হলো ৪৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ৬৬ ইস্টবেঙ্গল, ৪৩ বীর এবং ৪০ এসটি ব্যাটালিয়ন।
২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন করে এই সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একনেকে এই সেনানিবাসের প্রকল্প অনুমোদন হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।
এর আয়তন এক হাজার ৫৩২ একর।
বরিশাল ও পটুয়াখালীর সীমান্তবর্তী পায়রা নদীর তীরে এই সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত। ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর অংশ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়।