সাজেক, নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলাতে গিয়ে ভালোই ফটো মারেন! আবার কোন মুখে পর্যটন স্পষ্ট, হোটেল- মোটেল নির্মাণের বিরোধিতা করেন??

0
71

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান ফাইভ স্টার হোটেল করা যদি অন্যায় হয় তবে বিহার, আশ্রম, গির্জা নির্মাণ করে হাজার হাজার একর পাহাড় কাটাও অন্যায় নয় কি?

পাহাড় কেটে সড়ক পথ করা অন্যায়, সাজেক, নীলগিরি, নীলাচল, ইত্যাদি ট্যুরিস্ট স্পট করাও অন্যায়, পাহাড় কেটে সিম অপারেটর টাওয়ার বসানোও অন্যায়, পাহাড় কেটে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, স্টেডিয়াম করাটাও অন্যায়।

মোট কথা পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের হস্তক্ষেপ করাই অন্যায়! 

তো পার্বত্য চট্টগ্রাম কি ভিনদেশী দখলদারদের বাপদাদার সম্পত্তি নাকি?? পাহাড়ের সমস্ত ভূমির মালিক কথিত আদিবাসীদের না। কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়া হাজার হাজার একর খাস ভূমি কথিত আদিবাসীরা দাবি করা হাস্যকর! আর যে সকল সমতল ভূমির বাঙালী, কতিপয় পরিবেশবাদী কথিত আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে সেনারা পর্যটন শিল্প গড়ে তুলছে বলে একচেটিয়া লাফালাফি করছেন তাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করার অনুরোধ রইলো। প্রকৃত পাহাড়ের বাস্তবতা না জেনে কতিপয় দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতীয়দের ফেসবুকে মায়াকান্না দেখে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অবস্থান নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না।

ও আপনাদের তো আবার ভাবনার ও শেষ নেই! কারণ এটা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ, ত্রিপুরার চাকমারা সহ অধিকাংশই দাবি করে থাকে প্রায়শই। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো স্বাধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ হিসেবে চায়। গোপনে প্রকাশ্যে আবার জুম্মল্যান্ড নামক রাষ্ট্র কায়েম করতেও চায়! কিছুদিন আগেও তো পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর নবীন সৈনিক নাছিম উদ্দিন (২১) কে হত্যা করে জেএসএস সন্ত্রাসীরা রাজস্থলীতে। এ প্রসঙ্গ নিয়ে তো কই কাউকে কথা বলতে দেখিনি কখনো? স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব দেশে কাদের এতো পেশীশক্তি যে সেনাবাহিনীকে হত্যা করে? পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদী কি নেই? ভূমি দখল কথিত আদিবাসী উচ্ছেদ ঘটনা প্রবাহ সম্পূর্ণ বানোয়াট, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাংগঠনিক অপতৎপরতা ও অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য কল্পিত মিথ্যাচার মাত্র। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিজেদের অংশ বলে মানববন্ধন করারও দুসাহস দেখায়! পার্বত্য উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কোটি কোটি টাকার অস্ত্র দেয় কারা? এদের মদদ দেয় কারা? অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয় কারা? জানেন পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়টি অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠন আছে যারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করতে চায়! যারা পাহাড়ের মানুষ থেকে নিত্যদিন চাঁদা আদায় করে। এসকল খবরাখবর কি রাখেন? পাহাড়ে এসে তো অনেক সময় পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা আত্মসামাজিক উন্নয়ন ও পর্যাটন শিল্প বিকাশ না করার কারণে সরকার- সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন। ভালো মানসম্মত হোটেল না পেয়েও ত্যানা প্যাঁচাতে থাকেন। তো আবার কেন সেনাবাহিনীকে দায়ী করেন? 

সরকারি চাকুরীর ৯৫ শতাংশই কোটা পদ্ধতিতে পায় উপজাতিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০০ তম হয়েও কোটায় চান্স পায় উপজাতিরা! অথচ  মেধা থাকা সত্ত্বেও  কোটার কাছে হেরে যায় পার্বত্য  চট্টগ্রামের বাঙালী মেধাবী ছাত্ররা। তারপরও বাঙালিরা প্রতিবাদ  করে না, মানববন্ধন করে না।। বাংলাদেশের নাগরিক  হয়েও বসবাস করে অভিবাসীর মত!

জানেন পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি শতকরা কত শতাংশ? বান্দরবানে বাঙ্গালী প্রায় ৫১ শতাংশ। উপজাতি বাঙ্গালী একই স্কুলে পড়ে, সরকারের কাছ থেকে একই সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা, দুঃখজনক যে একপেশে সব উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয়। এমনকি বিদেশি দ্বাতা সংস্থা গুলো উপজাতীয়দের বিভিন্ন অনুদান দেয় তারপরও  বাঙালীর চাকরির বেলায় পায় ৫-১০ শতাংশ! 

পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী আর বাঙালি বসবাস না করলে রাজার হালে ট্যুর করতে পারতেন না। 

ভিসা লাগত ভিসা। 

খুব আয়েশ করে বলতে পারতেন না পার্বত্য  চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ। 

সরকার ও সেনাবাহিনী কতটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে পার্বত্য অঞ্চল চক্রান্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা করছে সেটা ট্যুরিস্ট হয়ে বুঝবেন না। যেখানে  সরকারই পার্বত্য  চট্টগ্রামকে মানচিত্রে টিকিয়ে রাখাতে হিমসিম  খাচ্ছে,সেনাবাহিনী প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে সেখানে পরিবেশ  নিয়া চুলচিরা বিশ্লেষণ  করা বেমানান। সরকার পার্বত্য  চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মানচিত্রে  টিকিয়ে রেখেছে পলিসি দিয়ে, আবেগ দিয়ে নয়।

ঢাকা শহরে সারাবছর এসির নিচে থেকে একদিন ট্যুর  নিলেই পরিবেশবাদী হওয়া যায় কিন্তু পার্বত্য  চট্টগ্রামের ভূ-রাজনীতির মারপ্যাঁচ ধরা যায় না।

আগে দেশ বাঁচান, তারপর না হয় পরিবেশ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here