পাহাড়ে অভিশপ্ত গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করলো সেনাবাহিনী

0
33

 

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সেনা জোনের টহল দল ৩০০
বিঘা গাঁজা খেত ধ্বংস করেছে। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মহালছড়ি উপজেলার দেবতা পুকুর
এলাকায় এসব খেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি
সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর দিদারুল ইসলাম, পিএসসি এ টহল দলের নেতৃত্বে দেন। পরে পুলিশ
ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে গাঁজা গাছগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা
হয়। সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, গহিন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে
জনবসতি তুলনামূলক কম সেসব জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আঞ্চলিক উগ্র সংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাঁদের বেতন-ভাতাসহ
অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। সেনাবাহিনীর
নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতার ফলেই এই বিপুল গাঁজা খেতের সন্ধান পায় মহালছড়ি জোন। জানা
গেছে, গাঁজা চাষের সঙ্গে যুক্ত সাতজনের মধ্যে জমির মালিক দেবতা পুকুর এলাকার কদু ত্রিপুরা
(৪০)। তিনি মৃত কলারাম ত্রিপুরার ছেলে। গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত তিনজনের পরিচয় জানা
গেছে-বিষ্ণু কুমার ত্রিপুরার ছেলে মুক্ত কুমার ত্রিপুরা (৩০), সুদত্ত কুমার ত্রিপুরা
(৩০), চিনোত্ত দত্ত ত্রিপুরার ছেলে মঞ্জয় ত্রিপুর (৩৫)। তাঁরা সকালেই দেবতা পুকুর পাড়ার
বাসিন্দা। গাঁজা চাষের শ্রমিকেরা হলেন-মৃত মতি কুমার ত্রিপুরার ছেলে মায়া কুমার ত্রিপুরা
(২২)। তাঁর বাড়ি দেবতা পুকুর পাড়া। বাকি দুজন হলেন হেরন ত্রিপুরা (৪৫) এবং শান্তি ত্রিপুরা
(২৫)। তাঁদের মধ্যে মায়া কুমার ত্রিপুরাকে (২২) নিরাপত্তা বাহিনী আটক করেছে। মহালছড়ি
থানার এসআই শেখ ইফতেখার মাহামুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, লোক চক্ষুর আড়ালে
গ্রামের লোকজন গাঁজার চাষ করেছেন। মহালছড়ি জোনের অধিনায়ক বলেন, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত
থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তিনি আরোও বলেন, ভবিষ্যতেও মহালছড়ি জোনের এরুপ কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারীর মাঝেও মহালছড়ি জোন কর্তৃক বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করা
হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে সাধারণ মানুষের জোনের প্রতি তথাপি
নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি সাধিত
হচ্ছে।
মহালছড়ি সেনা জোনের এ ধরনের কার্যক্রম
সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে
মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার ধল্যাছড়া
পাড়া এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা গাঁজা খেত ধ্বংস করার কথা জানায় সেনাবাহিনী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here