রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যাকান্ডের এক বছর অতিবাহিত হলেও, বিচার পায়নি তার পরিবার

0
50

 

পার্বত্য অঞ্চলের ইতিহাসে এই প্রথম ইসলামের জন্য শহীদ হয়েছেন এক নিরীহ উপজাতি। বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের তুলাবন ছড়া গ্রামে নওমুসলিম ওমর ফারুক ২০১৪ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর তার মাধ্যমে ওই এলাকার আরও ৩০টি পরিবার ইসলাম গ্রহণ করে।

তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও প্রচার করায় বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকায় ১৮ই জুন শুক্রবার, রাত ৯ টায় দেশদ্রোহী উপজাতী সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন। তার পিতার নাম তয়ারাম ত্রিপুরা এবং মাতার নাম পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর তিনি পূর্বের নাম বেরণ চন্দ্র ত্রিপুরা পরিবর্তন করে উমর ফারুক হিসাবে নতুন নাম গ্রহন করে। জানা যায়, ৫৫ বছর বয়সে এই নওমুসলিম ওমর ফারুক বন্ধুর দাওয়াতে ২০১৪ সালে খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। পরবর্তীতে, তিনি ওই এলাকায় নিজ উদ্যোগে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। তিনি সেই মসজিদের ইমাম ছিলেন।

ওমর ফারুকের এই ইসলাম গ্রহণ ও অন্যদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে ইসলামে দীক্ষিত করাটাকে পছন্দ হয়নি দেশদ্রোহী উপজাতী সন্ত্রাসী ও খ্রিস্টান মিশনারীদের।

ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, এমনকি নিহত ওমর ফারুকের পরিবার এখনও বিচার পায়নি।

দেশের সংবিধান মোতাবেক স্বাধীনভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ধর্মের ধর্মপ্রচারকগণ তাদের ধর্মের প্রচার ও প্রসার দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অনেক বড় একটি অংশ ইতোমধ্যে তাদের পূর্ব পুরুষদের আচরিত বৌদ্ধ, হিন্দু ধর্ম বা প্রকৃতি পূজা ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাতে কেউ বাধা দেয়নি।

অথচ অবাক হওয়ার বিষয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কেউ মুসলিম হতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইসলামের প্রচার করতে গেলে ধর্মপ্রচারকদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুম-খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। নওমুসলিম ওমর ফারুক যে এই প্রতিক্রিয়াশলীরাই হত্যা করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ দেশের সংবিধান মোতাবেক সুস্পষ্টভাবে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে, যেন পাহাড়ে বসবাররত সকল জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের নাগরিক যাতে নিরাপদে তাদের স্ব স্ব ধর্মের বিধিবিধান পালন, প্রচার, প্রচারণা করতে পারে, তেমন একটি সুশৃংখল, নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ পার্বত্য চট্টগ্রামে নিশ্চিত করা। সেই সাথে উপজাতীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খবর সবার আগে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন*

https://t.me/savecht

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here