
ভুক্তভোগী রবিউল ইসালাম বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার রেকর্ডিয় জায়গায় বসতঘর নির্মাণ শুরু করলে রোববার (১৯ জুন) রাতে কে বা কারা ঘরের পিলারগুলো হেলিয়ে দিয়ে যায়। পরদিন সকালে এটা দেখে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করি। এছাড়াও ২নং নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ১৭ মাইল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করলে আমাকে ঘর নির্মাণে অনুমতি দেন। কিন্তু তারপরও পাহাড়ি দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীরা গত রাতে আমার বসতঘরটি ভেঙ্গে দিয়ে যায়। এতে আমি ও আমার পরিবার পথে বসার উপক্রমে। আমি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়.

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গত রাতে পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের শতাধিক লোকজন একত্রিত হয়ে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। দূর পাহাড় থেকে আমরা টিন কোপানো এবং হ্যামার দিয়ে ঘরের পাকা পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। তারা আরও জানায়, গত বছর এই জায়গাটির পাশেই অন্য এক বাঙালির নবনির্মিত বসতঘরে এই সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো।
এই বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাপ্পি চাকমা জানান, ঘরটির নির্মাণকাজ শুরু করলে অজ্ঞাত সন্ত্রসীরা ঘরের পাকা খুটিগুলো হেলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছি। গত, সোমবার এবিষয়ে আমি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলি এবং জায়গার মালিকের যেহেতু কাগজপত্র ঠিক আছে তাই তাকে ঘর নির্মাণ করতে বলি। পাশাপাশি অন্য কারো জায়গাটির মালিকানা থাকলে তাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ বা আমার সাথে যোগাযোগের কথা বলি। জায়গাটির দাবি নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। গত রাতে নির্মাণাধীন পুরো ঘরটি দুষ্কৃতিকারীরা ভেঙ্গে দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন এখন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার বলেন, ঘটনার খবর জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খবর সবার আগে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন*