
জন্ম
থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করা প্রদীপ জলদাসের জীবনের একমাত্র
উপার্জনের মাধ্যম ছিল একটি নৌকা। পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ
ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার এই বাসিন্দা খেয়া পারাপারের মাধ্যমে পরিবারের জীবিকা
নির্বাহ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নৌকাটি নষ্ট হয়ে অচল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন
তিনি। অসহায় প্রদীপ জলদাস সাহায্যের আশায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড
ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন লংগদু জোন অধিনায়কের কাছে আবেদন করেন। তার এ করুণ
অবস্থার কথা জানার পর সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় কাঠ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে নৌকাটি
মেরামতের ব্যবস্থা করে। সম্প্রতি নৌকাটি মেরামত সম্পন্ন হওয়ায় প্রদীপের উপার্জনের
পথ আবারও সচল হয়েছে। আনন্দে ভাসতে থাকা প্রদীপ বলেন, জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হওয়ায় জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল সংগ্রামের। কিন্তু
সেনাবাহিনী সবসময় আমাকে ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে এসেছে। এবার তারা পুরোপুরি নতুন
করে নৌকাটি তৈরি করে দিয়েছে। আমি ও আমার পরিবার তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। লংগদু
জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হিমেল মিয়া বলেন, পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া
জনগোষ্ঠীর পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রতি বজায় রাখতে যেমন কাজ করছে
সেনাবাহিনী তেমনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা,
বিনোদন সহ অসহায় দরিদ্র মানুষের সহযোগিতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়
প্রদীপকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশের
ন্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদুতেও মানবিক সাহায্য-সহযোগিতার কার্যক্রম ও উদ্যোগ
অব্যাহত থাকবে।
থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করা প্রদীপ জলদাসের জীবনের একমাত্র
উপার্জনের মাধ্যম ছিল একটি নৌকা। পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ
ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া এলাকার এই বাসিন্দা খেয়া পারাপারের মাধ্যমে পরিবারের জীবিকা
নির্বাহ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নৌকাটি নষ্ট হয়ে অচল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন
তিনি। অসহায় প্রদীপ জলদাস সাহায্যের আশায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড
ও খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন লংগদু জোন অধিনায়কের কাছে আবেদন করেন। তার এ করুণ
অবস্থার কথা জানার পর সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় কাঠ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে নৌকাটি
মেরামতের ব্যবস্থা করে। সম্প্রতি নৌকাটি মেরামত সম্পন্ন হওয়ায় প্রদীপের উপার্জনের
পথ আবারও সচল হয়েছে। আনন্দে ভাসতে থাকা প্রদীপ বলেন, জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হওয়ায় জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল সংগ্রামের। কিন্তু
সেনাবাহিনী সবসময় আমাকে ভালোবাসা ও সহযোগিতা দিয়ে এসেছে। এবার তারা পুরোপুরি নতুন
করে নৌকাটি তৈরি করে দিয়েছে। আমি ও আমার পরিবার তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। লংগদু
জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল হিমেল মিয়া বলেন, পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া
জনগোষ্ঠীর পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রতি বজায় রাখতে যেমন কাজ করছে
সেনাবাহিনী তেমনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা,
বিনোদন সহ অসহায় দরিদ্র মানুষের সহযোগিতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়
প্রদীপকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশের
ন্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদুতেও মানবিক সাহায্য-সহযোগিতার কার্যক্রম ও উদ্যোগ
অব্যাহত থাকবে।