আঞ্চলিক সংগঠনের চাঁদাবাজির কারণে কৃষকরা বাঁশের নাজ্য মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে

0
28


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) গ্লোবাল ব্যাম্বু রিসোর্সেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রজাতিবৈচিত্র্য ও উৎপাদনগত দিক বিবেচনায় ৩৩ প্রজাতির বাঁশ নিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে সারাবিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাঁশ উৎপাদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের মধ্যে প্রথম। এ অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বাঁশঝাড় রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত বাঁশের ন্যায্য অংশ পাচ্ছেন না দরিদ্র কৃষকরা। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অন্যতম কারণ এখানে বাঁশ বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়া খুবই কষ্টসাধ্য রাস্তা যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ১০/১২ মাইল পাহাড়ি আকাবাকা জলহীন খাল পাড়ি দিয়ে বাজারে বাঁশ আনতে হয়। অসহনীয় চাঁদা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চাহিদা মতো বিক্রেতাদের ধরে রাখছে, পরিশ্রম অনুযায়ী দাম পাচ্ছে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদে জড়িত ৪টি উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের অব্যাহত চাঁদাবাজির কারণে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কৃষকরা শ্রম, বাঁশের নাজ্য মূল্যে থেকে বঞ্চিত ব্যর্থ হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি উপজেলার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১০/১২ মাইল খাল পাড়ি দিয়ে ৮০০ থেকে এক হাজারের মধ্যে ১০০টি বাঁশ ছাড়া হচ্ছে! এ টাকা থেকে উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএসসহ অন্যান্য সংগঠনকে চাঁদা দিতে হবে। বাঁশ থেকে সন্ত্রাসীদের দিতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দরে। এ কারণে দরিদ্র মানুষ বাঁশ উৎপাদন করতে আগ্রহ হারাচ্ছে তাছাড়া শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা বাঁশের ন্যায্য মূল্য কেন দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চাইলে তারা উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়, বাজার ফ্যা ফান্ডকেও দিতে হবে। পুলিশকে বাঁশের গাড়ির জন্য ৩০০ টাকা দিতে হয় ফরেস্টকে ২০০ টাকা। যে বাঁশ এখানে ৭ টাকা কিনা পড়ে সেই বাঁশ শহরে পৌছাতে ৬০ টাকার উপর খরচ পড়ে। মোট কথা হচ্ছে চাঁদা না দিলে বাঁশ শহরে পৌছানো সম্ভব না। গাড়ি ওভারলোড করে শহরে নিতে পথে পথে চাঁদা দিতে হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাঁশ উৎপাদনের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দের উদ্দেশ্যও লুটপাট করেছন নেতারা। এসব প্রকল্প পরিদর্শন করে প্রত্যাশিত বাঁশের চারা দেখা যায়নি। এভাবে পুরো চট্টগ্রামের সব বাঁশের সংযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন নেতারা। মূলত এই কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঁশ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে পূর্বের তুলনায়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খবর সবার আগে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন*

https://t.me/savecht

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here