পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে কিছুদিন যাবৎ একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদাবাজি করে আসছিল। বেপরোয়া এই চাঁদাবাজদের অত্যাচার ও হয়রানিতে পার্বত্য অঞ্চল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে থানায় অভিযোগ দাখিলের পর আজ, ২০ অক্টোবর ২০২১ তারিখ পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়া এলাকায় সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে খবর পাওয়া যায়।
উক্ত অভিযানে ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও চাঁদা সংগ্রহকারী স্বর্ন লংকার চাকমা ওরফে রনি (৪১) নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার করার পর তল্লাশি পূর্বক তার কাছ থেকে ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল, চায়না ০১ টি, ম্যাগাজিন ০১ টি, ৭.৬৫ মি.মি. পিস্তল চায়না এর গুলি ০৩ রাউন্ড, মোবাইল ফোন ০৩ টি, নগদ ৩৮৫২০ টাকা, চাঁদা সংগ্রহের রশিদ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান শেষে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীকে মহালছড়ি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছিল এবং উক্ত ব্যক্তি ইউপিডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র শাখার সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দীঘিনালা থানায় সোর্পদ করা হবে।
দীঘিনালার জোন কমান্ডার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপডিএফ (মূল) এর সশস্ত্র সদস্যরা অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অত্র জোনের বিভিন্ন স্থানে চাঁদা আদায় করছে এবং ভবিষ্যতে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। ফলশ্রুতিতে অত্র জোন কর্তৃক নিয়মিত অপারেশন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে অত্র জোন কর্তৃক অপারেশন পরিচালনা করা হলে উল্লেখিত চাঁদাবাজকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কখনোই ঠাই পাবে না! সন্ত্রাসবাদ দমনে রীতিমতো বাংলাদেশ সরকার তথা নিরাপত্তা বাহিনী বদ্ধপরিকর। এই অভিযান পাবর্ত্য চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।