১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সরকারের সাথে
পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। তখন শান্তি চুক্তির বিরোধীতা করে জেএসএস থেকে বেরিয়ে আসে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। কিন্তু শান্তিচুক্তি করা জেএসএস বর্তমানে চুক্তির যেমন বিরোধীতা করছে, তেমনি দেশের বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্র করছে।
অপরদিকে ইউপিডিএফ শুরু
থেকেই চুক্তির বিরোধীতা করে আসছে, এখনও তারা দেশের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। জুম্ম (পাহাড়ি) সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলছে। সন্তু ও প্রসিতরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করে চলছে। তাদের এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকে সকলে মিলে প্রতিহত করতে হবে।
বান্দরবান সদরে
ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর জেলা আহ্বায়ক কমিটি এক প্রেস ব্রিফিং করে। উক্ত প্রেস
ব্রিফিং এ গণতান্ত্রিক নেতারা অভিযোগ আনে পাহাড়ে হত্যা ও অরাজকতা সৃষ্টির মূলে রয়েছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ।
জেলা
সদরের বালাঘাটা এলাকায় একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। প্রেস
ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর মুখপাত্র সুলেন চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির আহ্বায়ক মংপু, সদস্য সিকো চাকমা এবং তাদের ছাত্র সংগঠন পিসিপির সভাপতি উচিং মারমা।
লিখিত
বক্তব্যে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে দেশি–বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কোনো শেষ নেই। কুচক্রী মহলসমূহ গত কয়েক দশক ধরে সাধারণ জুম্ম ভাইবোনদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজ স্বার্থে অপব্যহার করে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চুক্তির পূর্বে এই ষড়যন্ত্রের ধরন ছিল এরকম আর চুক্তির পর স্বার্থান্বেষী মহল নতুন করে তাদের ষড়যন্ত্র সাজিয়ে আবারও জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
লিখিত
বক্তব্যে বলা হয়, এই কুচক্রী মহল এতোদিন ধরে জুম্ম জনগণকে বিভ্রান্ত করে অপব্যহার করেছে, সেই কুচক্রী হল দেশের বাইরে দুটি স্থানে তাদের অনুগত কর্মীদের পুনরায় সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে।
লিখিত
বক্তব্যে বলা হয়, পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আমাদের অনেক উপজাতি ভাইবোন সরকারি ও বেসরকারি চাকুরিসহ দেশে বিদেশে ভালো সুযোগ পেয়েছে। তাই কুচক্রী মহল আবারও পাহাড়ে অশান্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মং পু ও সুলেন চাকমা বলেন, বান্দরবানের নীলগিরি এলাকায় পাঁচ তারকা হোটেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজকে সন্তু–প্রসিত গংরা বাঁধা দিচ্ছে, তারা উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি
করছে। তারা বলেন, এসব স্থাপনা হলে পাহাড়িদের জীবনমান উন্নত হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তখন আর সাধারণ পাহাড়িদের বিভ্রান্ত করা যাবে না। এ জন্যই তারা এসব উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি
করছে।
নেতৃবৃন্দ পাহাড়ি
সাধারণ জনগণকে জেএসএস ও প্রসিতের ইউপিডিএফ এর বিভ্রান্তিতে না পড়ে দেশের ও সরকারের উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।