বিজিবির টহল দলের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ একজন নিহত হয়েছে।
করছেন সাধারণ মানুষ। এ ঘটনায় দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো
হয়েছে।
টেকনাফ-২
বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান জানান, গত ১৩ নভেম্বর
(শুক্রবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ দুই বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ১নং সুলিশ
গেইট সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার হতে বড় ধরনের মাদকের চালান আসার সংবাদের ভিত্তিতে
বিশেষ একটি টহল দল স্পীডবোট নিয়ে কৌশলে টহলে অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর টহলদল তাঁদের চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারিরা অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে ৪–৫ মিনিটের মতো গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা গুলি করতে করতে কেওড়া বাগানের ভেতর দিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থামার পর টহলদল ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজারটি ইয়াবা বড়ি, একটি চায়না পিস্তল ও দুটি গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ দুজন ও বিজিবির তিনজন সদস্যকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
গোলাগুলি
থেমে যাওয়ার পর দ্রুত নৌকাটি জব্দ করে ১টি দেশীয় অস্ত্র, ২ রাউন্ড কার্তুজের খালি
খোসা এবং ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি)
বলেন, সরকারী কাজে বাঁধা প্রধান ও মাদকের চালান বহন এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আইনের
পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।