নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির নিরাপত্তায় খুশি পূজামণ্ডপের পূজারিরা

0
42

বান্দরবান রিজিয়নের নাইক্ষ্যংছড়ি জোন
১১ বিজিবি কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়ি
, পেকুয়া ও চকরিয়ার ৬০টি পূজামণ্ডপে
কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তারা পূজারিদের সার্বিক সহায়তা করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পূজামণ্ডপে নিয়োজিত ১১ বিজিবির এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, বুধবার (৫
অক্টোবর) ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্ম অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়
দশমী। শুরু থেকে আজকের এ দিন পর্যন্ত তারা এ তিন উপজেলার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্যে
কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে পূজারিদের অনেকেই জানান, শারদীয়
দুর্গোৎসবের আজ ছিলো বিজয়া দশমী। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা প্রতিমাকে বিসর্জন দেন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তবে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি তাদের যে নিরাপত্তা দিয়েছে
তাতে তারা খুব খুশি। বিশেষ করে ১১ বিজিবির অধিনায়ককে ধন্যবাদ জানান তারা। কারণ
তিনি সার্বক্ষণিক তাদের খোজঁখবর নিয়েছেন আপন ভেবে
, স্বজন
ভেবে।

এদিকে বিজিবি সূত্র জানান, তারা উপজেলা ৩টির
মধ্যে নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় ৩টি
, পেকুয়া উপজেলার ৯টি এবং
চকরিয়া উপজেলায় ৪৮টি সহ মোট ৬০টি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা দিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের সার্বজনীন হরি
মন্দিরের সভাপতি লক্ষণ কান্তি দে বলেন
, সাধুবাদ ১১ বিজিবিকে। তারা সীমান্তের
অতন্দ্র প্রহরী হলেও নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি সহ ৬০ পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব
পালনের জন্যে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল
আবছার ইমন বলেন
, ১১ বিজিবি অনেক দায়িত্বশীল বিজিবির এক নাম। সীমান্তে এতো ব্যস্ততার
মাঝেও তারা ৬০টি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার চাঁদরে পূজারিদের পাশে ছিলেন। এটি এক
অভূতপূর্ব এক নজির। বিশেষ করে অধিনায়ক মহোদয় সবার প্রতি সুনজর রেখেছিলেন।

১১ বিজিবি জোন
কমান্ডার বলেন, পাহাড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায়
রাখতে বিজিবি
সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও সকলকে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি মুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ
পরিবেশ গড়ে তুলতে বিজিবি
কে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খবর সবার আগে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন*

https://t.me/savecht

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here