বান্দরবানে পাহাড়ি এবং বাঙালিদের প্রতিরোধের মুখে ফিরে গেলো এনজিও প্রতিনিধি দল

0
45
                                  

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২) সচেতন পাহাড়ি এবং বাঙালি সমাজের প্রতিরোধের মুখে নাগরিক উদ্যোগ নামক একটি এনজিও প্রতিনিধি দল বান্দরবানে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে গিয়েছে স্ব অবস্থানে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ দলটির বান্দরবান জেলার লামা উপেজেলার আজিজনগরে আসার কথা ছিলো।

জানা যায়, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভূমি দখল, পাল্টা দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক চলছিল। এরই অংশ হিসাবে আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নাগরিক উদ্যোগের ব্যানারে একটি এনজিও প্রতিনিধি দল লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জায়গা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে লামা সরই প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এনজিও প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আগমনের খবর স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা।

এনজিও প্রতিনিধি দলের আগমন ঠেকাতে লামা সরই ভূমি উন্নয়ন অধিকার রক্ষা পরিষদের ব্যানারে স্থানীয় পাহাড়ি এবং বাঙালিরা ক্যাজু পাড়া, হাসনা ভিটা, ফাইতং রাস্তার মাথা, কম্পনিয়াসহ বিভিন্ন স্পটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এনজিও প্রতিনিধি দল সরই এলাকায় বাঙালিদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের আগাম সংবাদ পেয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়াস্থ ইনসাফ রেস্টুরেন্টে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অবস্থার বেগতিক দেখে সরই এলাকার কিছু উপজাতীয় যুবকদের সাথে গোপন বৈঠক শেষ করে দ্রুত লোহাগাড়া ত্যাগ করেন।

লামা ভূমি উন্নয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নুরুল আলম বলেছেন, সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভূমি দীর্ঘ দিন ধরে জবর দখল করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে স্থানীয় রংধজন ত্রিপুরা, পদরাম ত্রিপুরা, ও মতি ত্রিপুরার নেতৃত্বে একটি ভূমি দস্যু চক্র। ভূমি দখলে ব্যর্থ হয়ে তারা নানান ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তারা তথা কথিত নাগরিক উদ্যোগের নামে একটি সংগঠনের আশ্রয় নেয়। এই নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে শনিবার লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জায়গা জবর দখল করে স্কুল নির্মাণের চেষ্টা চালায়।

তিনি আরো জানান, নাগরিক উদ্যোগ নামক এনজিও প্রতিনিধি দলের আগমনে পাহাড়ি এবং বাঙালিরা সরই এলাকার সকল প্রবেশর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। শেষ পর্যন্ত পাহাড়ি ও বাঙালিদের প্রতিরোধের মুখে নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। একজন বাঙালি বেঁচে থাকতে বাঙালিদের এক ইঞ্চি ভূমি বেদখল হতে দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান। তবে এ বিষয়ে নাগরিক উদ্যোগের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঢাকা থেকে নাগরিক উদ্যোগের প্রতিনিধি দলের সরই আগমনের খবরে স্থানীয় পাহাড়ি এবং বাঙালিদরে মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে প্রতিনিধি দল লামায় না এসে লোহাগাড়া থেকে ফিরে গেছে বলে যানা গিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল খবর সবার আগে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন*

https://t.me/savecht

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here