অনলাইন ভিত্তিক শিলং জুয়া খেলার এজেন্ট ও খেলোয়াড়ের আইনের
আওতায় আনার পাশাপাশি যারা এটির পেছনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদেরকে যদি অতিদ্রুত
আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে এই শিলং জুয়া বন্ধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তাই এই জুয়া খেলা বন্ধে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলার পৌর শহর সহ উপজেলার
বিভিন্ন এলাকায় চলছে ভারত থেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিলং তীর নামক ইন্টারনেট ভিত্তিক
অনলাইন জুয়া। ভারতের শিলং নামক স্থান থেকে এই জুয়া পরিচালিত হয় বলে জানা জায়।
যেটি বাংলাদেশে শিলং তীর জুয়া নামে পরিচয়।
স্থানীয় সূত্রে
জানাগেছে, করোনায় ভাইরাসের জন্য সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুল, কলেজে পডুয়া ছাত্র সহ চাকুরী জীবি রিকশায় চালক
শ্রমজীবী পুরুষ এবং কি মহিলা সবাই অধিক লাভের আশায় এই শিলং তীর জুয়া খেলার প্রতি
আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। রামগড় পৌর এলাকা সহ উপজেলার প্রায় ১৫ টির মত স্থানে এই শিলং
তীর জুয়া অনায়াসে চলছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে
আরো জানায়,
পরিচালনা করা হয় অনলাইন ভিত্তিক শিলং জুয়া খেলা। এতে ৮০গুন লাভের আশায় শিলং এর
নেশায় সর্বশান্ত হচ্ছে রামগড়ের অর্থনীতি। এতে এজেন্টের লোক হাজার টাকার কমিশন
হিসেবে মুল কোম্পানির কাছ থেকে ৬০টাকা পেয়ে থাকে। শিলং তীর জুয়া সকাল ৯টা শুরু
হয়ে রাত ১১ টা পযর্ন্ত চলে। এই সময় সব এজেন্ট এর মাধ্যমে কর্তন দিতে হয় প্রধান
এজেন্টদের কাছে। সপ্তাহে রবিবার ছাড়া বাকি ৬ দিন শিলং তীর অনলাইন জুয়া চলমান
রয়েছে।
এবিষয়ে, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু.মাহমুদ উল্ল্যাহ মারুফ
বলেন, শিলং জুয়া খেলাটির বিষয়ে অনেক অভিযোগ আছে। জুয়া খেলা আইনতো দণ্ডনীয়
অপরাধ, এছাড়া জুয়া খেলার কারণে অনেকে পারিবারিক সহ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে
পড়ে।
তবে শিলং জুয়া খেলা বন্ধে অতিদ্রুত উপজেলা প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ
করবে।