সাঁকো নাড়াবেন না!!!

 সাঁকো নাড়াবেন না!!!

বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পে বিপুল অর্থ ব্যয় করছেন যেন আমাদের দেশ একটি পর্যটন বান্ধব দেশ হিসেবে বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সরকারের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য এবং পর্যটকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সাজেকে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান বিধায় পর্যটকদেরও শতকরা ৯০ ভাগ বা সামান্য কম বেশি মুসলমান। কিন্তু জেলা পরিষদের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে বানচাল করে দেয়ার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল এবং পাহাড়ের সন্ত্রাসী দলগুলো বিশেষ করে জেএসএস ও ইউপিডিএফ উঠে পড়ে লেগেছে। 

পার্বত্য চট্টগ্রামে শত শত কিয়াং ঘর ও ভাবনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে সরকারি খাস জমি এবং বন বিভাগের জমির উপর। এসব কিয়াং ঘর ধর্মের নামে নির্মিত হলেও বাস্তবে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় স্থল এবং অস্ত্র ভান্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে আনুপাতিক হারে মসজিদ নাই। আর সরকারি খাস জমি বা বনবিভাগের জমির উপর তো মসজিদ তৈরির প্রশ্নই উঠে না। পাহাড়ে বাঙালী মুসলিম জনসংখ্যার আনুপাতিক হার এবং মসজিদের কথা বিবেচনা করলে আপনারা কি অনুমান করতে পারেন যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো কি পরিমান মসজিদ নির্মাণ করতে হবে????

সুতরাং, সাঁকো নাড়াবেন না।