সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ধর্ষণের ঘটনা
সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া উঠানো হয়েছে। বিগত ২৩ তারিখ ভোর বেলা খাগড়াছড়ি সদরস্থ বলপিয়া আদম এলাকায় বিন্দু লাল চাকমার বাড়িতে ৯ জন মুখোশধারি লোক এসে ডাকাতি করে এবং তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে অমৃতা চাকমাকে জোরপূর্বক উপর্যপরি ধর্ষণ করে। ঘটনা ঘটার পর থেকেই ইউপিডিএফ প্রসিত দল নানান বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ এর মাধ্যমে এটাকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইসু তৈরি করার পায়তারা করছে এবং পাহাড়ে বসবাসকারী শান্তিপ্রিয় পাহাড়ি এবং বাঙালীদের মাঝে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার ধান্দায় আছে। চলুন একটু পিছে ফিরে তাকাইঃ
১। ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির নয় মাইল এলাকায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে তার স্বজাতি এক ভাই যে ছিলো জেএসএসের কুখ্যাত সন্ত্রাসী।
২। ৩০/০৮/২০১৮ সালে মিতালী চাকমা নামের এক মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা।
৩। খাগড়াছড়ির রামগড়ে হাসিরাম ত্রিপুরার মেয়েকে দীপ্ত ত্রিপুরার দ্বারা ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিল।
এই রকম বহু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে। উপরোক্ত ঘটনা গুলো পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় উপজাতি ছেলে কর্তৃক উপজাতি মেয়ে ধর্ষণ হলে কোন উপজাতি বা কোন উপজাতি সংগঠন তা নিয়ে কোন প্রকার প্রতিবাদ করে না। তার মানে এই নয় কি, অমৃতা চাকমা বাঙালী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে বলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা উপজাতি ও বাংগালীদের মধ্যে সাম্প্রদায়ীকতা দাংগা বাধানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে?
ধর্ষণ যেই করুক না কেন তার বিচার অবশ্যই হবে। আজ অমৃতা চাকমাকে ধর্ষনের ঘটনায় সন্দেহজনক ৭ জন বাংগালীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল এই ধর্ষণের ঘটনাকে নিয়ে ইমতিয়াজ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টটি পড়লাম। তিনি লিখেছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা নাকি নায্য বিচার পায় না। বাংগালী কর্তৃক উপজাতি ধর্ষনের নাকি আজ পর্যন্ত বিচার পাইনি পাহাড়িরা।
তিনি এই কথাটি কিভাবে বলতে পারলেন? ইমতিয়াজ মাহমুদের মত একজন সচেতন নাগরিক যদি এমন কথা বলেন তাহলে আমজনতা কি বলবে? কোন ঘটনা তদন্তের আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছেন। যদি তাও তিনি তার কোথায় অটল থাকেন তার মানে তিনি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খান। চোখের সামনে টাকার পর্দা না থাকলে মানুষ এমন করে না বা এমন কথা বলতে পারে না। যে দোষী বা অপরাধী সে যে কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীরই হোক না কেন সে অবশ্যই শাস্তি পাবে। আইন সবার জন্য সমান। আমাদের আইন ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আস্থাশীল হতে হবে। বাঙালী বলে তো তাদের ছেড়ে দেয়া হয় নি।
আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদল এবং ইমতিয়াজ মাহমুদের মত কিছু অর্থলোভী মানুষের জন্য উপজাতি ও বাংগালীদের মাঝে এত সংঘাত। তাই এসব সন্ত্রাসীদের এবং অর্থলোভী মানুষের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে ও নিজ জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।
পাহাড়ি বাঙালী ভাই ভাই, ধর্ষণকারীর জাত নাই!!!